নবকুমার:
নারায়ণগঞ্জে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার কোনো ল্যাব কিংবা রিসার্চ সেন্টার নেই। নারায়ণগঞ্জে এতো বেশি করোনা রোগী সংক্রমিত হওয়ার পরও সেখানে কোন ল্যাব কিংবা রিসার্চ সেন্টার নেই জেনে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । আর সেই ল্যাব কিংবা রিসার্চ সেন্টার নারায়ণগঞ্জে স্থাপনের জন্য নারায়ণগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক খুবই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিষয়টি বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা ।
তিনি বলেন, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক একটি ল্যাব স্থাপনের খুব চেষ্টা করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ল্যাব স্থাপনের ব্যবস্থা করার জন্য নিদেশ দিয়েছেন। এর আগে নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতালের আবাসিক ডাক্তার (আরএমও) সামসুদ্দোহা সঞ্চয় নারায়ণগঞ্জে করোনা পরীক্ষার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ পিসিআর ল্যাব স্থাপনের দাবি করেন।
সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির খোজ খবর নেন। তিনি ডাক্তার ,জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনকে বিভিন্ন দিকনিদেশনা দিয়েছেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকার পরে নারায়ণগঞ্জে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা।নারায়ণগঞ্জে করোনা পরীক্ষার স্ট্যান্ডার্ড ল্যাব নেই। তবে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসতে বেশি সময় লাগেনা। ঢাকায় আসলেও আমরা টেস্ট করে দিতে পারি ও করে দিচ্ছি। ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রে একেবারে তৃণমূল পর্যন্ত কমিটি করে দিতে হবে। ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রে কারা আপনার ভোটার সেটি দেখলে হবেনা। সাধারণ জনগণ যারা এখন দুস্থ ও অসহায় অবস্থার মধ্যে রয়েছে তাদের নামের তালিকা তৈরি করতে হবে। আমি এটি সুনির্দিষ্টভাবে বলতে চাই। আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে। কে আমার দল করলো, কে করলোনা, কে আমাকে ভোট দিলো, কে দিলোনা সেটা দেখার দরকার নাই। যার অবস্থা খারাপ, কিংবা যে দুস্থ যার বাসায় খাবার নাই তার ঘরে খাবার পৌঁছে দিতে হবে। এটিই আমিই চাই। এই ম্যাসেজটাই সকলকে পৌঁছাতে চাই। একটি মানুষও যাতে না খেয়ে কষ্ট না পায়। জনপ্রতিনিধিরা চাইবে নিজেদের ভোটারদের সহায়তা দিতে। আমাদের খাদ্যের কোনো সমস্যা নেই। প্রচুর খাদ্য মজুদ রয়েছে। নতুন ধান কাটার মৌসুম এসেছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সেলিম রেজার সভাপতিত্বে ভিডিও কনফেরান্স অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের এমপি নজরুল ইসলাম বাবু,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল আমিন, সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি লেফট্যানেন্ট কর্ণেল আব্দুল্লাহ মোত্তাকিম, জেলা ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন চৌধুরী ইকবাল বাহারসহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।